নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আবারও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (৭ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ‘কোটা বৈষম্যর প্রতিবাদে বাংলা ব্লকড’ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামের ব্যানারে এ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় মহসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটারের মত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁরা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই’, ‘মেধা যার, মেধা যার; চাকরি তার চাকরি তার’, ‘মুক্তি যুদ্ধের মূল কথা সুযোগে সমতা’, ‘স্বাধীনতার মূল কথা সুযোগে সমতা’, ‘রেলের ৪০% কোটা মুক্ত করে রেল সম্পদ রক্ষা করো’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্তি পাক’ ইত্যাদি।
বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সড়ক অবরোধের বিষয়ে, আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী মহি উদ্দিন বলেন, বাংলার চাকরির বাজার এমনিতেই খুবই প্রতিযোগিতা মুলক।
তার উপর আবার সরকারি চাকরিতো সোনার হরিণ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের সরকারের একটি পরিপত্রে ১ম ও ২য় শ্রেনীর চাকরীতে সকল প্রকার কোটা বাতিল, ঘোষনা করে, কিন্তু সাম্প্রতিক হাইকোর্টের একটি রায়ে ওই পরিপত্রটি অবৈধ ঘোষনার পরপরই কোটা আন্দোলন আবার প্রবল ভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
জনপ্রশাসনে বর্তমানে মেধাবিদের খুবই অভাব, এসব কোটাধারি নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে এই খাতটাকে দুর্নীতির চরম লেভেলে নিয়ে গেছে, যা সাম্প্রতিক কয়েকটা ঘটনা পরিলক্ষন করে বুঝা যায়। তাই বাংলার অপামর ছাত্রসমাজ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চায়, এবং সরকারের স্বপ্নের সোনার বাংলা তৈরিতে সহয়তা করতে চায়।
সদর দক্ষিণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এমরানুল হক মারুফ দৈনিক গোমতী প্রতিদিনকে বলেন, আমরা সকল ধরনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি যাতে কোন ধরনের সমস্যা না হয়। আমরা উপরের মহলের সাথে কথা বলতেছি সেখান থেকে যে ধরনের নির্দেশ আসবে আমরা সেভাবে কাজ করবো।
সদর দক্ষিণের ইউএনও রুবাইয়া খানম বলেন, আমরা কিছুক্ষণ পর তাদের শান্ত করার চেষ্টা করবো। অন্তত রাস্তার একসাইড যেন ছেড়ে দেয়। তারপর তারা না মানলে এজিএম স্যার আসবেন৷ তারপরও না মানলে ডিসি স্যার আসবেন।
এছাড়াও, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রায় তিন ঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। এরপর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে চার দফা দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক ত্যাগ করেন।