ইয়াসিন আরাফাত (শান্ত) :
বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের পর কর্মবিরতি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ পুলিশ এবং ১১ দফা আাদায়ের পর গত সোমবার কুমিল্লা জেলার ১৮টি থানার কার্যক্রম গতকাল সোমবার আবারও শুরু হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশ লাইনসে যোগ দিতে শুরু করেন কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক মর্যাদার পুলিশ সদস্যরা। ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা যোগ দেওয়ার পর সড়কে দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্য কমতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (১৩ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১২ টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, গতকাল (সোমবার) থেকে জেলার ১৮ থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রায় সব পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাগণ ডিউটি করছেন। সেবা গ্রহীতাদের তারা বিভিন্ন সেবা প্রদান করছেন। সদরের কোতোয়ালী থানাসহ মোট ১৮ টি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) যোগদান করেছেন।
কুমিল্লা কোতোয়ালী থানায় গিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, থানায় অবস্থান করছেন পুলিশ। শুরু হয়েছে বিভিন্ন কার্যক্রম। কোতওয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, আমরা ইতোপূর্বে থানার অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমগুলো শুরু করেছি। আমাদের কোতোয়ালি মডেল থানায় ১০৪ জন অফিসার ফোর্স কর্মরত আছেন সবাই কাজে যোগদান করেছেন । সোমবার ও মঙ্গলবার এ দুই দিনে ৬ টি অভিযোগ এবং ১৯ টি জিডি করা হয়েছে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায়। যেকোনো সেবা প্রত্যাশীরা জিডি কিংবা অভিযোগ অনায়াসেই আমাদের ডিউটি অফিসারের কাছে গিয়ে করতে পারবেন। আমি এবং আমার ডিউটি অফিসাররা এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। থানার সেবা আমরা চালু করেছি। আমাদের কোতোয়ালি মডেল থানার কোন হামলা হয়নি।
এদিকে, পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে না থাকায় পুরো জেলাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্রায় প্রতি রাতেই জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সংঘবদ্ধ ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে।
তবে, থানায় পুলিশ সদস্যরা ফিরে আসায় স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। পুলিশ সদস্যরা থানায় ফেরায় স্বস্তির কথা জানিয়ে কুমিল্লা নগরীর নুরপুর এলাকার আবদুর রহমান বলেন, ১৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এডভোকেট হিমেল বলেন, এতদিন যেন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলাম। চুরি, ডাকাতির ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারতাম না। কখন কি হয়ে যায়। যাক পুলিশ সদস্যরা এবার থানায় ফিরেছে। আমরাও শান্তিতে ঘুমাতে পারবো।
বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসানাত খন্দকার বলেন, আমার থানার সকল পুলিশ সদস্য উপস্থিত আছেন। তার মধ্যে দুজন অফিসিয়াল ছুটিতে আছেন। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও থানাতে ১৫ জন আনসার সদস্য এখানে দায়িত্ব পালন করছেন। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের আইনি সহায়তা চলবে।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুনজুরুল আফসার বলেন, যথাযথভাবে পূর্বের ন্যায় পুলিশিং কার্যক্রম চালু হয়েছে।