কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা সদর ৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে খুনি এবং খুনের নির্দেশদাতা উল্লেখ করে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেছেন, খুনি গডফাদার বাহারের বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না। সে কুমিল্লাকে অশান্ত করে তুলেছে। কুমিল্লার ছাত্র সমাজ, সাধারণ মানুষকে সে ঘুমাতে দেয়নি। সে দাবি করতো- এই কুমিল্লা নাকি তার কুমিল্লা। আমরা দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, এই কুমিল্লা কুমিল্লাবাসীর কুমিল্লা, খুনি বাহারের কুমিল্লা নয়, খুনি বাহারের মেয়ের কুমিল্লা নয়। কুমিল্লায়ও খুনের নির্দেশ দাতা, হুকুমদাতাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হবে।গতকাল বুধবার কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইউসুফ মোল্লা টিপু এসব কথা বলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সারাদেশে নির্বিচারে ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবীতে টাউন হল মাঠে এই বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহবায়ক উদবাতুল বারী আবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন।বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, কুমিল্লার একজন গডফাদার বাহার। তার হাত থেকে কুমিল্লার ছাত্রসমাজ থেকে শুরু করে আপামর জনসাধারণ রেহাই পায় নাই। শিক্ষার্থীরা যখন দাবী আদায়ের জন্য সংগ্রাম করছিলো। তখন গডফাদার বাহার ও তার কন্যা সূচনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নির্বিচারে আমাদের ছাত্রসমাজের উপর গুলি করেছিলো। আমরা কুমিল্লাবাসী তা ভুলে যাবো না। আমরা এর বিচার চাই। প্রত্যেকটি অন্যায়ের বিচার হবে। যারা আমাদের উপর গুলি করেছে, ছাত্রছাত্রীদের উপর গুলি করেছে, যারা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের বাড়িতে হামলা করেছে- প্রত্যেকটি অস্ত্রের হিসাব আমরা নিবো। ২০০৮ সাল থেকে কুমিল্লায় এ পর্যন্ত যতো বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে এসব লাইসেন্স বাতিল করে অস্ত্রগুলো জব্দ করতে হবে। এসব বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করা হবে। এসব অস্ত্রের গুলি কুমিল্লাবাসীর উপর চালানো হয়েছে, ছাত্রসমাজের উপর চালানো হয়েছে। কুমিল্লার সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে। কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকায় আমাদের এক ভাইকে গুলি করে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যার মামলা দায়ের করবো। এবং এই হত্যার সাথে খুনি বাহার থেকে শুরু করে তার কন্যা সূচি তার বাড়িতে বসে বসে হত্যা নির্দেশ দিয়েছে। তাদেরকে আসামি করে মামলা করা হবে। কোনো অন্যায়কারীকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রশাসনকে অবশ্যই নিরপেক্ষতা প্রমাণ করতে হবে। প্রত্যেক অপরাধীকে গেস্খফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।