গোমতী প্রতিদিন ডেক্স
কুমিল্লার দু:খ গোমতী’ বৃহস্পতিবার রাতে এই কথা আবারো প্রমাণ করে বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকায় বাঁধে ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার দিকে বাঁধ ভেঙ্গে পানি জনপদে প্রবেশ করতে শুরু করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান ও স্থানীয় চেয়ারম্যান হাজী মো: বিল্লাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রথমে একটি ছিদ্র দিয়ে পানি প্রবেশ শুরু হয় এবং তা ক্রমেই বড় আকার ধারন করে এবং গভীর রাতে অন্তত ৫০ ফুট বাঁধ ধ্বসে যায়। নদীর পাড় ভাঙ্গনের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনগণ প্রাণপন ছুটতে থাকেন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য। কেউ দোতলা কোন বিল্ডিংয়ে কেউ স্কুল ভবনে আশ্রয় নেয়। এ ভাঙ্গনের ফলে অন্তত দুই লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় ঢলে পানি বেড়েছে কুমিল্লার নদী ও খালগুলোতে। রুদ্রমূর্তি ধারন করেছে গোমতী নদী। বাঁধ ভাঙ্গার ভয় নিয়ে দিন রাত পাড় করছে নদীর তীরবর্তী মানুষ। সর্বশেষ বৃহষ্পতিবার রাতে বুড়বুড়িয়ায় বাঁধে ধ্বস নামার আগ পর্যন্ত বিপদসীমার ১৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। মঙ্গলবার রাতেই বেড়িবাঁধের ভেতর সবগুলো গ্রাম ডুবে যায়। অতিরিক্ত স্রোতের ধাক্কায় আদর্শ সদর, বুড়িচং, দেবিদ্বার ও মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দেয়। সেঁচের পাইপ যাবার পথগুলো চুঁইয়ে নদী থেকে প্লাবিত হচ্ছে নদী অববাহিকার এলাকাগুলো। বৃহষ্পতিবার দুপুর থেকে বাঁধের বিভিন্ন এলাকায় গর্ত দিয়ে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হতে থাকে জনবসতি। বাঁধ মেরামত কাজে সমন্বিত ভাবে কাজ করে এলাকাবাসী ও স্বেচ্ছাসেবীরা।
২৩ আগস্ট শুক্রবার বুড়িচং জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মানবিক ব্যক্তিত্ব হেলেনা জাহাঙ্গীরের নেত্রীতে ভরাসার বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয় কেন্দ্র সহ মোট ৪০০ গৃহহারা পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রিক বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে এসময় উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের- রাকিবুল হাসান মহাসচিব , জনাব ইলিয়াস মাহমুদ, আলমগীর কবির, আবদুল হাদী সওদাগর,জনাব শাখাওয়াত হাফিজ সম্পাদক ও প্রকাশক, মোহাম্মদ সোহাগ মিয়া ম্যানেজার এডমিন সহ প্রমুখ।