নিজস্ব প্রতিবেদক:
আমার পিএসসির ও গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী কিভাবে অঢেল সম্পদের মালিক হলেন তাও আমার প্রশ্ন ছিল? দূর্নীতি বিষয় জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার বাসার পিয়ন ছিল। সেও নাকি ৪০০ কোটি টাকার মালিক তাকি করে সম্ভব। আবার নাকি হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। পরে তাকেও কিন্তু ছাড় দেওয়া হয়নি তার বিষয় ও খোঁজ-খবর নেওয়া হয়েছে।
(১৪ জুলাই) ২০২৪ইং বিকেলে চীন সফরের বিষয় গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রথমে আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি তাতে ও আমরা সফল হয়েছি। আবার আমরা দুর্নীতি নিয়ে কাজ করছি দুর্নীতবাজদের ধরছি। এটা চলতে থাকবে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।’
তিনি বলেন, ‘অনেকে আমাকে বলেন, এটা করলে সরকারের ইমেজ নষ্ট হবে। আমি সেটা মনে করি না যারা অপরাধ করছে, দুর্নীতিতে জড়াচ্ছে; তাদের ধরতে হবে, এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া যাবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যখন হাত যখন দিয়েছি, আমি ছাড়ব না৷ দুর্নীতিবাজ ধরছি বলেই, এখন সবাই জানতে পারছেন৷ আমার বাসায় কাজ করে গেছে, সেও এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক, হেলিকপ্টার ছাড়া চলেই না৷ তার অপরাধ জানতে পেরেছি, পরে তাকে বের করে দিয়েছি, নিজের মতো ব্যবস্থা নিয়েছি। আপন-পর জানি না, দুর্নীতি যেখানে হোক, যেই হোক, আমি তাকে ধরব৷ জিরো টলারেন্স যখন বলেছি, তখন এটা করেই ছাড়ব৷
কোটাবিরোধী আন্দোলন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আন্দোলন করছে, তারা আইন মানেন না৷ সংবিধান চেনেন না৷ সরকার কিভাবে চলে, তা নিয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই৷ মুক্তিযোদ্ধার নাতনি কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে, এখন সে বলে কোটা চাই না৷ ওই মেয়েকে বলবো- বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে বাড়ি গিয়ে বসে থাকুক, কোনো দরকার নেই পড়াশোনার৷
এ সময় কোটা বিষয়ে আদালতের রায়ের ওপর নির্বাহী বিভাগের কিছু করার নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তারা পড়ালেখা করে জিপিএ পায়, কিন্তু এসব (সংবিধান, আইন) নিয়ে কোনো ধারণা রাখে না তারা৷ আদালততো রায় দিয়েছে, এখানে নির্বাহী বিভাগের কিছু করার নেই৷ এটি আন্দোলনকারীদের বুঝতে হবে৷ কোটা আন্দোলন এর পরেও চালিয়ে গেলে তারা চালাবে৷ ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি করলে আইন তার নিজ গতিতে বিষয়টিকে দেখবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।