ইয়াসিন আরাফাত শান্ত :
ফেনীর দাগনভূঞা এলাকায় ব্যবসায়ীর খামার থেকে ১৩ টি গরু চুরি মামলার মূলহোতা সোলাইমান এবং তার এক সহযোগী’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭,
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ভুক্তভোগী মোঃ দাউদ খান ফেনী জেলার দাগনভূঞা থানাধীন পূর্ব জয় নারায়নপুরের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন আইনজীবি। তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ বটতলা এলাকায় খাঁন এগ্রো নামীয় একটি গরুর ফার্ম পরিচালনা করে আসছেন। গত ০৮ জুন ২০২৪ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ০২৩০ হতে ০৩৩০ ঘটিকার মধ্যবর্তী সময় অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের একটি দল ছুরি সহ খাঁন এগ্রো ফার্মের ভিতর প্রবেশ করে তার কর্মচারীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে খামারে থাকা ২১টি গরুর মধ্যে ১৩টি শাহীওয়াল জাতের গরু চুরি করে ট্রাক যোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে খাঁন এগ্রো ফার্মের মালিক মোঃ দাউদ খাঁন বাদী হয়ে ফেনী জেলার দাগনভূঞা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৬, তারিখ- ০৯ জুন ২০২৪ ইং, ধারা- ৩৮২, পেনাল কোড-১৮৬০।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম সূত্রে বর্ণিত মামলার আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, সূত্রে বর্ণিত মামলার সন্ধিগ্ধ পলাতক আসামি সোলাইমান ওরফে সলোমান এবং তার সহযোগী জামাল হোসেন ওরফে মানিক চট্টগ্রাম মহানগরীর চাঁন্দগাও থানা এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ১২ জুন ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ১২০০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সন্দিগ্ধ আসামি ১। সোলাইমান @ সলোমান (৫২), পিতা-মৃত সেকেন্দার, সাং-মধ্যম চর চান্দিয়, থানা-সোনাগাজী, জেলা- ফেনী এবং ২। জামাল হোসেন ওরফে মানিক (৪১), পিতা-মৃত আব্দুল হালিম, সাং-গাংরা, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লাদের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা বর্ণিত মামলার সাথে জড়িত পলাতক আসামি এবং মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল মর্মে স্বীকার করে।
উল্লেখ্য, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে ধৃত আসামি সোলাইমান ওরফে সলোমান এর বিরুদ্ধে ফেনী এবং চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলার তথ্য এবং আসামি জামাল হোসেন ওরফে মানিক এর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানায় ০৪ টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাদেরকে ফেনী জেলার দাগনভূঞা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।