শাহীন আলম সরকার, নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক প্রধান আসামি সুমন চক্রবর্তী এবং তার এক সহযোগীকে দীর্ঘ ৪ বছর পর গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানার মামলা নং-২৭, তারিখ- ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ইং, ধারা-১৪৩, ৩২৩, ৩৪১, ৩০৭, ৩০২, ৫০৬, ৩৪ দ্য পেনাল কোড, ১৮৬০ এর হত্যা মামলার প্রধান আসামি সুমন চক্রবর্তী চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানাধীন ডিসি রোড এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ১১ জুন ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ১৭২০ ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি সুমন চক্রবর্তী (৪২), পিতা- তপন চক্রবর্তী, সাং-আচার্য্য পাড়া, থানা-হালিশহর, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামি সুমন চক্রবর্তী এর দেওয়া তথ্যমতে অপর একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানাধীন চাতরি চৌমুহনী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি তাজুল দে (৪০), পিতা-মৃত কাঙ্গাল দে, সাং-আচার্য্য পাড়া, থানা-হালিশহর, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূত্রে বর্ণিত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, তারা গত ২০২০ সালে পারিবারিক বিরোধের জেরে ভিকটিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে মামালা রুজু হওয়ার পর হতে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাদেরকে চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।