মাহফুজ বাবু;
কুমিল্লা বুড়িচংয়ে দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি আঘাতে আব্দুর সাত্তার নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। স্বজন ও স্থানীয়রাদের দাবী টাকা ও মোবাইল ছিনতাই করতেই বখাটেরা রাতের আধারে হত্যা করেছে তাকে।
শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের পীতাম্বর জোরাপুল এলাকায় রেল সড়কের সাথে ঘটে ঘটনা। নিহত আব্দুস সাত্তার কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় অটো চালক নিহতের ছেলে খোরশেদ আলম ও স্থানীয়দের ধারনা, রসুলপুর বাড়ি হলেও তার বাবা আব্দুস সাত্তার পীতাম্বর এলাকায় বসবাস করেন এবং বাড়ির কাছেই মুদি দোকান পরিচালনা করেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে রেললাইন দিয়ে হেটে নিজবাড়ী রসুলপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। রাতে বাড়ি থেকে ২শত গজ দুরে পীতাম্বর জোরাপুল এলাকায় (রসুলপুর রেল স্টেশন সংলগ্ন) রেল লাইনের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে তার কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিতে তার ওপর হামলা করে। এসময় তার মাথায় এলোপাতাড়ি ভারি বস্তু দ্বারা আঘাত করা হয়। মৃত ভেবে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় রেল ব্রিজের পাশে ফেলে রেখে চলে যায়। তার চোখে ও মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তারা।
ভোরে প্রতিবেশী এক নারী হাটতে বের হলে তিনি রেল লাইনের পাশে মুমূর্ষু অবস্থায় আব্দুস সাত্তারকে দেখতে পেয়ে স্বজনদের খবর দেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তারদের পরামর্শে ঢামেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। রবিবার সকাল আনুমানিক সারে ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সাত্তার।
স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, এই স্থানে প্রায়শই ছিনতাই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। কিছুদিন আগে স্থানীয় এক ব্যক্তির সাথে একই ঘটনা ঘটলেও ভাগ্য ক্রমে বেঁচে যান তিনি। তবে বখাটে ছিনতাইকারীদের হামলায় মাথায় ও শরীরে গুরুতর আঘাত পান তিনি। এছাড়াও বেশ কয়েকজনের মোবাইল ছিনতাই করা হয়েছে এ এলাকা থেকে।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল হক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তিনি। নিহতের স্বজনদের সাথে কথা বলেছেন, তদন্ত চলমান রয়েছে। শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। জড়িতদের সনাক্ত ও আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।