নিজস্ব প্রতিবেদক :
ব্রাহ্মণ পাড়া উপজেলার- ৮ নং মালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পানি নিষ্কাশনের অভাবে বৃষ্টির পানি জমে জনজীবন বিপন্নের অভিযোগ তিনটি গ্রামে কৃষক ও মৎস্য পুকুর ব্যবসায়ীরা দিশেহারা এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর । তার বলেন বৃষ্টি হলেই শুরু হয় বন্যা,তলিয়ে যায় ফসলি জমি সহ রাস্তা ঘাট ও বসত ভিটা এমনটি বলছেন ডাক্তার জহিরুল হকের বাড়ির চারপাশে স্থায়ী ভুক্তভোগীরা। জনপ্রতিনিধিদের দারস্থ হয়ে ও মিলছেনা সমাধান।
এ বিষয় জানতে চাইলে মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী বলেন ২০০ বিঘা কৃষি জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য একটিখাল ছিল। সেটিও আজ সরকারি আশ্রয় প্রকল্প নির্মাণ করতে গিয়ে এই বিলের পানি নিষ্কাশনের যে প্রধান পথটি ছিলো তা আজ বিলীন হয়ে গেছে।ফলে একটু বৃষ্টি হলেই স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে পারে না। অন্য দিকে পানি বন্দি হয়ে পড়ে আড়াই শতাধিক পরিবার। তলিয়ে যায় আবাদি জমি, নষ্ট হয়ে যায় কৃষকের ঘাম জড়ানো কৃষি উৎপাদিত বীজ সহ ফসল তাই আমরা দাবি পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জোরদাবী জানাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে সরেজমিনে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানাযায়, রোববার (২৬ মে) বৃষ্টির ফলে চারাধান সহ কুশর খেতে পানি জমে থাকার ফলে পচন ধরেছে। এদিকে পাঁচ থেকে ছয় ফুট উচ্চতার অস্বাভাবিক বৃষ্টির পানির জোয়ারের ব্রাহ্মণ পাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের নিষ্কাসনের অভাবে পানি জমে থাকার কারনে মাছের পুকুরের মাছ সহ এলাকার মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে এলাকাবাসির দাবি করেন।
ডাক্তার জহিরুল হকের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন সরকারি আশ্রয় প্রকল্প নির্মাণের ফলে যে খালের প্রধান মুখটি ভরাট হওয়ায় বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে তার ফলে কৃষি জমিতে বছরে একটি ফসল উৎপাদন করতে হয়। তিনি আরো বলেন গ্রামে বসবাসরত মানুষ গুলো কৃষির উপর নির্ভরশীল তাই তাদের বিশাল ক্ষতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।
এ বিষয় জানতে চাইলে ৮নং মালা পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন রেখে দেন।